রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আগামীকাল রোজ সোমবার হতে চলছে এক বৃহত্তম আন্দোলন, এ কথা জানান তিতুমীর ঐক্য প্লাটফর্ম থেকে। তারা বলেন আমরা আমাদের একটি যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি।
আমরা আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রথমে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করি। সেই কর্মসূচিতে আমরা আমাদের দাবির পক্ষে ৯৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় পাঠাই এবং আমাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরি।
কিন্তু তাতেও কর্তৃপক্ষ নজরে না আসলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। তার পর বাংলা ব্লকেড নামে কর্মসূচি পালন করি এই কর্মসূচির স্থায়িত্ব ছিলো অল্প। কারণ আমরা জনদূর্ভগের কথা চিন্তা করে এ কর্মসূচি সীমিত আকারে করা হয়। তিতুমীর ঐক্য জানায় আমরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী ‘ এবং ‘ডেথ অব এডুকেশ ‘ নামে কর্মসূচি ও পালন করি, তারপরও কর্তৃপক্ষ এতেও আমাদের সাথে আলোচনায় না আসার কারনে বাধ্য হয়ে আমরা শান্তিপূর্ন ভাবে কর্মসূচির পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
তিতুমীর ঐক্য থেকে আরো জানানো হয় আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া প্রর্যন্ত আমরা পিছ পা হবো না।কারন এ দাবি আমাদের দীর্ঘ ২৭ বছরের দাবি।তারা বলেন রাজধানীর অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয় ২০০৫ সালে ঠিক তখনই তাদের সাথে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি ওঠে। তিতুমীর কলেজের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য সকল যোগ্যতা থাকার পরেও রাজনৈতিক কারনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয়।
আজ আমারা তাদের দিকে তাকালে দেখতে পাই তাদের লেখা পড়ার কতটা উন্নত হয়েছে। একটা রাষ্ট্রের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো শিক্ষা ব্যবস্থা, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করতে এত তাল বাহানা কেন? রাষ্ট্রের দায়িত্ব একজন নাগরিককে তার মৌলিক অধিকার গুলো প্রধান করা। তাই শিক্ষা যেহেতু একটা মৌলিক অধিকার তাই আমরা এখান থেকে দূরে থাকবো কেন?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে তিতুমীর ঐক্য থেকে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই আন্দোলনের ডাক দেন। তারা বলেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি আমাদের লক্ষ না।আমরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়েছি কিন্তু এতে কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছি। এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকারকেই বহন করতে হবে।
তিতুমীর ঐক্য আরো বলেন আমরা এই আন্দোলনে সড়ক ও রেলপথ অবোধ করবো। তারা বলেন আমরা বেলা ১১ টা থেকে বিকেলে ৪ প্রর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। তারা সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং বলছেন এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। তারা বলেন দাবি আদায়ের পূর্ব প্রর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।
তারা শ্লোগান তোলেন,,,,,
“শিক্ষা মোদের অধিকার
শিক্ষা হবে জনতার”
” ব্যারিকেড ব্যারিকেড
বারাসাত ব্যারিকেড”
“বাশের কেল্লা গঠন করো
তিতুমীর স্বাধীন করো”
“পেতে চাইলে মুক্তি,
ছাড়ো ঢাবি ভক্তি “
“তিতুমীর চায় কি
ভার্সিটি, ভার্সিটি”
“অধ্যক্ষ না ভিসি,
ভিসি, ভিসি “
“Demand for north city
Titumir University “
“সেন্ট্রাল না স্বতন্ত্র
স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র”
“আমার সোনার বাংলায়
বৈষম্যের ঠাঁই নাই”
“শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য
মানিনা মানবো না”
“ঢাবির আগ্রাসন
ভেঙ্গ দাও,গুড়িয়ে দাও”